শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ইবির হলে ফিরলেন ফুলপরি, উদ্ধার হয়নি ভিডিও ফুটেজ

ইবির হলে ফিরলেন ফুলপরি, উদ্ধার হয়নি ভিডিও ফুটেজ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইবি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক মাস আগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুন হল পরিবর্তন করে নতুন হলে উঠেছেন। রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাবার সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসেন ফুলপরী। এই হলেই আজ থেকে তার নামে বরাদ্দ হওয়া আসনে থাকবেন তিনি। এদিকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে পারেনি হল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১২ই মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

সূত্র জানায়, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন নম্বর-২১০৫/২০২৩ নির্দেশনা (IX) এর আলোকে হল কর্তৃপক্ষ ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং কিভাবে ক্যামেরা সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। কমিটিতে আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়াকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে আগামী ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ তার সহযোগীরা। ভুক্তভোগী ফুলপরী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে তিনটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ ও শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।

তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা পান হাইকোর্ট। পরে ১লা মার্চ জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার, ভুক্তভোগীকে তার পছন্দমতো সিট বরাদ্দ দেয়া ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই দিনই শেখ হাসিনা হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন। পরে কয়েক দফা তদন্তের পর ৪ মার্চ ছাত্রলীগের অভিযুক্ত পাঁচ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

নির্যাতনে জড়িতরা হলেন, শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি ও ফিন্যান্স বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। অন্তরা বাদে সকলেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তারা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনায় গত ১লা মার্চ পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |